Ad Code

English Entire: Today a reader, tomorrow a leader

মানুষ কিভাবে ভাষা শিখে?



অন্য যে কোন প্রাণীদের চাইতে মানুষের পার্থক্যটা হচ্ছে মানুষ ভাষার মাধ্যমে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। প্রাণীজগতেও এক প্রাণী আরেক প্রাণীর সাথে যোগাযোগ করতে পারে, কিন্তু সেটা অনেকখানি সীমিত। সেই তুলনায় মানুষের ভাষা অনেক অনেক জটিল।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ কিভাবে ভাষা আয়ত্ত্ব করলো? এবং একই সাথে প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ কিভাবে ভাষা শিখে? ভাষাবিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর পেতে অনেক গবেষণা চালিয়েছেন, আর এর বেশিরভাগটাই হয়েছে শিশুদের ওপরে। শিশুরা জন্মের পর থেকে কিভাবে ভাষা রপ্ত করে সেখান থেকেই তারা বের করার চেষ্টা করছেন ভাষাশিক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি। আর এসব করতে গিয়ে তারা দেখতে পেলেন যে ভাষার ব্যাপারে কিন্তু বেশ কিছু মজার ব্যাপার আছে।

টারজান বালক: মানুষ একটা বয়স পর্যন্ত ভাষা শিখতে পারে, সেই বয়সটা পার হয়ে গেলে সে আর কোন ভাষাই শিখতে পারে না। একবার এক বন থেকে ১৪ বছরের এক ছেলেকে উদ্ধার করা হলো। কোন এক কারনে ছোটবেলা থেকেই সে বনে বড় হয়েছে, কোন রকম মানুষের সান্নিধ্য ছাড়া। পরে যখন তার সন্ধান পাওয়া গেলো, তাকে লোকালয়ে নিয়ে আসা হলো, আর বিজ্ঞানীরা, বিশেষ করে ভাষাবিজ্ঞানীরা তার ওপর বেশ গবেষণায় লেগে গেলেন। কারন সেই ছেলেটি বনে বড় হওয়ায় কোন ভাষাই জানতো না। এরপর তাকে অনেক চেষ্টার পরেও অল্প কিছু শব্দ আর বাক্য ছাড়া অন্য কিছুই আর শেখানো যায়নি। এরকম আরো বিভিন্ন প্রমাণ রয়েছে যে একটা বয়সের পর মানুষ আর ভাষা শিখতে পারে না। তার মানে এই না যে যারা একটা ভাষা জানে, তারা একটা বয়সের পর আর কোন ভাষা শিখতে পারবে না।

মাতৃভাষা নাকি বন্ধুভাষা: আমরা সাধারনত বলি বাচ্চা জন্মানোর পরে মা যে ভাষায় কথা বলে, শিশুও সেই ভাষাই রপ্ত করে। মূল বিষয়টা হচ্ছে শিশু জন্মের পরে যে ভাষা শুনতে শুনতে বেড়ে উঠে সেই ভাষায় তার প্রথম ভাষা বা first language হয়। আর এই কারনেই বাবা-মা যখন চাকুরি বা পেশাগত কারনে ভিন্নদেশে বসত গড়ে, তখন ছেলেমেয়ে সেদেশের ভাষাই রপ্ত করে ফেলে।

শিশুদের মতো করে শেখা: ভাষার ওপর ইংরেজি ভাষা নিয়েই কাজ হয়েছে অনেক। গবেষকরা ভাষা শেখার ব্যাপারে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ চালিয়ে মজার একটা জিনিস আবিস্কার করলেন। সেটা হচ্ছে ভাষা শেখার সময় বাচ্চারা প্রথমে যেসব ভুল করে, বড়রাও নতুন একটা ভাষা শিখতে গিয়ে ঠিক সে ধরনের ভুলগুলোই করে। যেমন, শিশুরা যখন প্রথম ইংরেজি শিখতে শুরু করে, তখন তারা irregular verb-গুলোকে regular verb-এর মতো করেই ব্যবহার করে। ধরা যাক go-র কথা। শিশুরা অতীত কালে went ব্যবহার করার বদলে সাধারন নিয়মে -ed যোগ করে goed বলে। একইভাবে plural-র শেষে 's যোগ করে না ইত্যাদি।

সব ভাষাই নিয়ম মেনে চলে:সব ভাষারই সাধারন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন কোন কোন ভাষায় subject যদি পুরুষ বা স্ত্রী লিঙ্গের হয় তাহলে সেই অনুযায়ী verb-এর পরিবর্তন হয়। যেমন: হিন্দি, আরবি, ফরাসি (ফ্রেঞ্চ) ভাষা। অন্যান্য ভাষায় verb-এর কোন পরিবর্তন হয় না, যেমন: বাংলা, ইংরেজি ইত্যাদি। কোন কোন ভাষার স্ট্রাকচার বা গঠন হচ্ছে SVO, মানে হচ্ছে Subject, Verb, Object এই সিরিয়ালে আসে, যেমন ইংরেজি ভাষা। আর কোন কোন ভাষার স্ট্রাকচার হচ্ছে SOV, অর্থাৎ প্রথমে subject, তারপরে আসে object এবং verb। যেমন বাংলা ভাষা। পৃথিবীর সব ভাষাই এরকম নিয়ম মেনে চলে।

ভাষা শিক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি

বিভিন্ন সময়ে ভাষা শিক্ষার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ভাষা শিক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতিগুলোর মধ্যে যে পার্থক্যগুলো কয়েকটা বিশেষ জায়গায়। যেমন: ক্লাসরুমে শিক্ষকের ভূমিকা কি, ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা কি, মাতৃভাষার প্রয়োগ কতোখানি হবে, টার্গেট ল্যাঙ্গয়েজ কিভাবে ব্যবহার করা হবে, ইত্যাদি।

গ্রামার-ট্রান্সলেশন মেথড: এটাকে ক্ল্যাসিক্যাল মেথডও বলা হয়। কারন হচ্ছে গ্রিক-রোমান সময়ে গ্রিক বা রোমান ভাষা শেখানোর জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হতো।

অডিওলিঙ্গুয়াল মেথড:

টোটাল ফিজিক্যাল মেথড:

কনটেন্ট বেইজড মেথড:

কমিউনিকেটিভ অ্যাপ্রোচ:

টাস্ক বেইজড মেথড:

কমিউনিকেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং

ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে এখন সারা পৃথিবীতেই 'কমিউনিকেটিভ পদ্ধতি' ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৮০-র দিকে এর প্রবর্তন হয়, এবং লিটলউড, উইডোসন সহ অনেকেই এটির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

কমিউনিকেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং-এর কয়েকটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে:

  • কমিউনিকেশনের মাধ্যমে ভাষা শিক্ষা
  • শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক
  • ডিডাকটিভ গ্রামার
  • অথেনটিক ম্যাটেরিয়াল

বর্তমান অবশ্য 'টাস্ক বেইজড পদ্ধতি' বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে এবং এর পেছনে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইন্ডিয়ার 'প্রভু' বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

ক্লাসরুম: শিক্ষকদের কর্মক্ষেত্র

শিক্ষার্থীরা কিভাবে শেখে সেটার ওপর গত কয়েক দশক ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। মস্তিষ্কের ওপর গবেষণা এবং মনোবিজ্ঞানের সহায়তায় চেষ্টা করা হয়েছে কিভাবে মানুষ সহজে মনে রাখতে পারে এবং কিভাবে শেখালে সেটা সবচেয়ে কার্যকর হয়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রত্যেকটি মানুষ আলাদা, তাদের প্রয়োজনটাও আলাদা। কিন্তু সচরাচর দেখা যায় যে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য একজনের শেখার চেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে, এগুলো হচ্ছে:

  • পরিবেশ
  • আবেগ
  • সামাজিক
  • শারীরিক
  • মনস্তাত্ত্বিক

তবে বাস্তবে এই লার্নিং স্টাইলের জন্য জনপ্রিয় একটা মডেলে ইন্দ্রিয়কে প্রাধান্য দেয়া হয় বেশি। সেন্সরি প্রেফারেন্স এ তাই তিনটি জিনিস প্রাধান্য পায়: ভিজ্যুয়াল, অডিটরি ও কাইনেস্থেটিক। ধারনা করা হয় যে প্রত্যেকটি মানুষ অন্যসব ইন্দ্রিয়ের চাইতে একটা মাত্র ইন্দ্রিয়ের ওপর প্রাধান্য দেয় বেশি, আর সেভাবেই তারা নতুন তথ্য শিখতে পছন্দ করে। দেখা গেছে যে কেউ দেখে শিখতে পছন্দ করে, কেউ শুনে শুনে শিখতে পছন্দ করে আর কেউ কেউ করে হাতেকলমে করে শিখতে বেশি পছন্দ করে। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় কেউ কেউ দুটো বা তিনটি পদ্ধতির সমন্বয়ে শিখতে পছন্দ করে বেশি। কিন্তু তাই বলে পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে শুধুমাত্র দেখে কিংবা শুনে অথবা হাতেকলমে করে শিখতে পছন্দ করে। তারা শুধু কোন একটাকে অন্যটার ওপর জোর দেয় বেশি। গবেষনায় দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের ২৯ ভাগ দেখার ব্যাপারে প্রাধান্য দেয, ৩৪ ভাগ শোনার ব্যাপারে প্রাধান্য দেয় আর ৩৭ ভাগ হাতেকলমে করে দেখার ওপর জোর দেয়।

যারা দেখার ওপর জোর দেয় তাদের শেখানোর ক্ষেত্রে পোস্টার, ছবি, ভিডিও, ফিল্ড ট্রিপ বা পরিদর্শন, ডায়াগ্রাম, ফটো, ড্রইং ইত্যাদি বেশ সাহায্য করে। যারা শোনার ওপর জোর দেয় তাদের শেখানোর ক্ষেত্রে শিক্ষকের কন্ঠ, শিক্ষার্থীদের আলোচনা, অডিও, অতিথি বক্তা, অন্যদের করা প্রেজেন্টেশন বেশ কাজে লাগে। আর সবচেয়ে বড় যে গ্রুপ, তারা কিছু করার মাধ্যমে শিখতে পারে বেশি। তাদের ক্ষেত্রে মডেল বানানো, কা্র্ড সাজানো বা শর্টিং করা, ভাঁজ করা, কাটাকাটি করা, আঠা দিয়ে জোড়া লাগানো ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকান্ড বা অ্যাক্টিভিটি বেশ কাজে দেয়। আর তাই এখনকার ক্লাসরুমে শেখানোর সময় শিক্ষকরা যেন এই তিনধরনের অ্যাক্টিভিটিই তাদের ক্লাসে রাখেন সে ব্যাপারে জোর দেয়া হয়।

Please browse this link: 

আপনিও পারবেন ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলতে (কথা দিলাম)। জাস্ট এই ১০ টি টিপস ফলো করুন। আরও আছে কেন আপনি কোনদিনই ইংরেজি শিখতে পারবেন না, তার কারণ ও প্রতিকার !


Post a Comment

0 Comments